
অনলাইন ডেস্ক::
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদ বলেছেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে জিম্মি করে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। নিরীহ মানুষ হত্যাকে রাজনীতির কৌশল হিসেবে বেঁছে নেয়া হয়েছে। দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চাইলে সবাইকে মিলে এই অপরাজনীতি রুখতে হবে।
‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। রিজিওনাল এন্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (রাত্রি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকটি রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে শনিবার সকাল ১০ টায় শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বরে কয়েকটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলো। মূলত স্থিতিশীল কোন সরকারকে অস্থিতিশীল পথে নিতে পারলেই সেখানে নানা অপতৎপরতা সম্ভব। আর সেটাই করার চেষ্টা চলছে। দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন ও কিছু আন্তর্জাতিক পক্ষ মিলে এটা করছে। এটা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে দেশকে স্থিতিশীল রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করার সঙ্গে এসব অপতৎপরতার যোগ আছে বলে মনে করেন মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ। দেশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ড. জিয়া রহমান, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বির হোসেন, ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান, শোলাকিয়া ঈদগা ময়দানের পেশ ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসুদ, বৈশাখী টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট এ এম আমিনুদ্দিন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক শাহরিয়ার কবীর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ড. এম এ হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম (বীর বিক্রম), নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল হেলাল মোরশেদ (অব.), ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, একাত্তর টেলিভিশনের পরিচালক (বার্তা) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
পাঠকের মতামত